About Me

My photo
Rangpur, Islam , Bangladesh

24 Oct 2022

ইলেকট্রিক সার্কিট

 একটি ফ্রস্ট টাইপ রেফ্রিজারেটরের ইলেকট্রিক সার্কিট।

বরফ জমার উপর ভিত্তি করে আবাসিক রেফ্রিজারেটর তিন প্রকার।

১/ ফ্রস্ট টাইপ রেফ্রিজারেটর ।

২/ ডি- ফ্রস্ট টাইপ রেফ্রিজারেটর ।

৩/ নন-ফ্রস্ট টাইপ রেফ্রিজারেটর।


নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এর ইলেকট্রিক্যাল সার্কিট








এসি মটর

 এসি মটর (AC Motor)

যে সব মটর এসি সরবরাহে চলে সেগুলোকে এগি মটর বলে ।

 

এসি মটরের শ্রেণী বিভাগ (Classification of AC Motor)


বিভিন্ন ধরনের এসি মটর সম্বন্ধে আলোচনা করা হলো।


 সিঙ্গল ফেইজ এসি ইন্ডাকশন মটর (Single Phase AC Induction Motor)


যে সমস্ত মটরে সিঙ্গল ফেইজ (একটি ফেইজ ও একটি নিউট্রেল) অল্টারনেটিং কারেন্ট সরবরাহ করে মটর চালানে হয় সেগুলোকে এসি ইন্ডাকশন মটর বলে । এ ধরনের মটর অনেক ধরনের হয়: 

(ক) স্প্লিট ফেইজ মটর (Split Phase Motor) 

(খ ) ক্যাপাসিটর স্টার্ট মটর (Capacitor Start Motor)

(গ) ক্যাপাসিটর রান মটর (Capacitor Run Motor )

(ঘ) ক্যাপাসিটর স্টার্ট অ্যান্ড রান মটর (Capacitor Start & Run Motor) 

(ঙ) শেডেড পোল মটর (Shaded Pole Motor)

(চ) রেসিস্ট্যান্স স্টার্ট মটর (Resistance Start Motor)

(ছ) ইউনিভার্সাল বা সিরিজ মটর (Universal or Series Motor) 

(জ) হাই পারফরমেন্স মটর (High Performance Motor)


(ক) স্প্লিট ফেইজ মোটর (Split Phase Motor))


স্প্লিট ফেইজ মোটরে দুধরনের ওআইন্ডিং থাকে। রানিং ওআইন্ডিং যা মোটা তারে বাইরের দিকে এবং স্টাটিং ওআইন্ডিং যা চিকন তারে ভিতরের দিকে বসানো থাকে। রানিং ওআইন্ডিং এর রোধ স্টার্টিং ওআইন্ডিং এর চেয়ে কম থাকে । মটর চালু করার মুহূর্তে উভয় উইন্ডিং দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হয় । চালু হওয়ার সাথে সাথে স্টার্টিং ওয়াইডিং এর লাইন কারেন্ট কয়েল রিলে বা সেন্ট্রিফিউগ্যাল সুইচের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন করা হয়। মটর সিল্ড টাইপ হলে কারেন্ট কয়েল রিলে এবং ওপেন টাইপ হলে সেন্ট্রিফিউগ্যাল সুইচ ব্যবহৃত হয় ।

চিত্র- ৩.৫ : স্প্লিট ফেইজ মটর


(খ) ক্যাপাসিটর স্টার্ট মটর (Capacitor Start Motor)


ক্যাপাসিটির স্টার্ট মটরের স্টার্টিং কয়েলের সাথে সিরিজ একটি স্টার্টিং ক্যাপাসিটর সংযোগ থাকে। মটর চালু হওয়ার পর বিলে বা সেন্ট্রিফিউগ্যাল সুইচের মাধ্যমে ক্যাপাসিটর সার্কিট অফ করা হয়। মটর আকারে একটু বড় হলে বা মোটর রিওআইন্ডিং করা হলে বা লো ভোল্টেজ এলাকায় চালু করতে বা বুস বিয়ারিং ক্ষয় হলে স্প্লিট ফেইজ মটরকে ও স্টার্ট ক্যাপাসিটর লাগিয়ে চালানো যায়। আর কেউ কেউ এ ধরনর মোটরকে ক্যাপাসিটর স্টার্ট (CSIR) ইন্ডাকশন রানিং মোটর বলে।




চিত্র ৩.৬ ক্যাপাসিটর স্টার্ট মটর


এ ধরনের মটর ক্ষমতায় ১২৫ থেকে ৭৫০ ওয়াট হয়ে থাকে। বড় রিফ্রিজারেটর, ডিপ ফ্রিজ, ওয়াটার কুলার, আইস


মেকার ইত্যাদি রিফ্রিজারেটিং যন্ত্রে এ ধরনের মটর ব্যবহৃত হয়। 


(গ) ক্যাপাসিটর রান মটর (Capacitor Run Motor)


ক্যাপাসিটর রান মটরে একটি রান ক্যাপাসিটর স্টার্টিং ওয়াইন্ডিং এর সাথে সিরিজে সংযোগ থাকে। এ ক্যাপাসিটর


সার্বক্ষণিক লাইনে থাকে। ক্যাপাসিটর সর্বক্ষণ লাইনে থাকে বলে এ ধরনের মটরকে ক্যাপাসিটর রান বা পারমানেন্ট


ক্যাপাসিটর মটর বলে । ক্যাপাসিটর রান মটর ব্যাপক ব্যবহৃত হয়। সিলিং ফ্যান, টেবিল ফ্যান, পেডেস্টাইল ফ্যান, একজস্ট ফ্যান, এয়ারকুলারের ব্রোয়ার মটর, কমপ্রেসর মটর ইত্যাদি আরও অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের মটর ব্যবহৃত হয়। ব্যাপক ব্যবহৃত এ মটর ক্ষমতায় ৫০ থেকে ২০০০ ওয়াট হতে পারে।



চিত্র ৩.৭ ক্যাপাসিটর রান মটর



8 Oct 2022

Cooling

 কুলিং অ্যাপলায়েন্সেস

 Cooling Appliances


যে যন্ত্রের সাহায্যে কোন দ্রব্যকে ঠাণ্ডা করা যায় তাকেই কুলিং অ্যাপলায়েন্স বা হিমায়ন যন্ত্র বলা হয় । রেফ্রিজারেশন ও এয়ারকন্ডিশনিংয়ে অনেক ধরনের হিমায়ন যন্ত্র আছে। এগুলোকে প্রধানত কয়েকটি ভাগে তা হলো-




(ক) আবাসিক হিমায়ন যন্ত্র 

(খ) বাণিজ্যিক হিমায়ন যন্ত্র

(গ) শিল্প সংক্রান্ত হিমায়ন যন্ত্র 

(ঘ) প্রাতিষ্ঠানিক হিমায়ন যন্ত্র


আবাসিক হিমায়ন যন্ত্র কয়েক ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন :

(ক) আবাসিক শীতক বা ডমেস্টিক রিফ্রিজারেটর ফ্রিজার

(খ) আবাসিক চেস্ট ফ্রিজার

(গ) উইন্ডো টাইপ এয়ারকন্ডিশনার 

(ঘ) স্প্লিট টাইপ এয়ারকন্ডিশনার


বাণিজ্যিক হিমায়ন যন্ত্র কয়েক ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন :

(ক) চেস্ট ফ্রিজার

(খ) বিভারেজ কুলার

(গ) ওয়াটার ডিসপেনসার

(ঘ) ওয়াটার কুলার

(ঙ) ডিসপ্লে ফ্রিজার

(চ) ডিসপ্লে রিফ্রিজারেটর

(ছ) উইন্ডো টাইপ এয়ারকন্ডিশনার

(জ) স্প্লিট টাইপ এয়ারকন্ডিশনার

(ঝ) কোল্ড রুম

(ঞ) ওয়াক ইন কুলার

(ট) ওয়াক ইন ফ্রিজার

(ঠ) রিফ্রিজারেটেড ভেন্ডিং মেশিন

(ড) ব্লাড ব্যাংক

(ঢ) প্যাকেজ টাইপ এয়াকন্ডিশনার (আউটডোর প্যাকেজ)

(ণ) কনসোল টাইপ এয়ারকন্ডিশনার (ইনডোর প্যাকেজ)

(ত) বাস, কার, রেল ও নৌযান শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ

(থ) আইস মেকার

(দ) কোন আইস মেকার


শিল্প সংক্রান্ত হিমায়ন যন্ত্র কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন :

(ক) রেসিপ্রোকেটিং ওয়াটার চিলার 

(খ) ক্রু টাইপ ওয়াটার চিলার

(গ) আইস প্ল্যান্ট

(ঘ) কোল্ড স্টোরেজ

(ঙ) মিট ফ্রোজেন স্টোরেজ

(চ) ফিস ফ্রোজেন স্টোরেজ

(ছ) ফুড প্রসেসিং কুলিং প্ল্যান্ট

(জ) ডাইরি রিফ্রিজারেশন

(ঞ) ক্যান্ডি রিফ্রিজারেশন

(ট) ইন্ডাস্ট্রিয়াল এয়ারকন্ডিশনিং প্ল্যান্ট


প্রাতিষ্ঠানিক হিমায়ন যন্ত্র কয়েক ভাগে ভাগ করা যায় । যেমন :


(ক) হাসপাতালে :

(১) ব্লাড ব্যাংক

(২) হাসপাতালে সেন্ট্রাল এয়ারকন্ডিশনিং প্ল্যান্ট

(৩) উইন্ডো/ স্প্লিট টাইপ এয়ারকন্ডিশনার

(৪) ওয়াটার কুলার ইত্যাদি

(৫) বিশেষায়িত বা স্পেশালাইজড ফ্রিজার (গবেষণা ও সংরক্ষণের জন্য)


(খ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে :

(১) ওয়াটার কুলার / রিফ্রিজারেটর-ফ্রিজার

(২) উইন্ডো/ স্প্লিট টাইপ এয়ারকন্ডিশনার 

(৩) সেন্ট্রাল এয়ারকন্ডিশনিং প্ল্যান্ট


(গ) অফিসেঃ

(১) ওয়াটার কুলার/ রিফ্রিজারেটর-ফ্রিজার

(২) উইন্ডো/ স্প্লিট টাইপ এয়াকন্ডিশনার

(৩) সেন্ট্রাল এয়ারকন্ডিশনিং প্ল্যান্ট

7 Oct 2022

কনডেনসার

 কনডেনসার

 (Condenser)


হিমায়ন চক্রের কুলিং কয়েলে হিমায়ক তাপ গ্রহণ করে বাষ্পে পরিণত হয়। সে বাম্পকে পুনরায় কাজে লাগানোর জন্য কমপ্রেসর হিমারকের চাপ বৃদ্ধি করে এবং কনডেনসার তাপ দূরীভূত করে। ফলে কনডেনসার বাষ্পীয় হিমায়ক ঘনীভূত হয়ে তরলে পরিণত হয়। হিমায়ন চক্রের যে অংশে তাপ অপসারণের মাধ্যমে উচ্চ চাপের বাষ্পীয় হিমায়ককে তরলে পরিণত করা হয় তাকে কনডেনসার বলা হয়।


 কনডেনসারের প্রকার ভেদ (Classification of Condenser)


কনডেনসারকে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা হয়ঃ


(ক) এয়ারকুন্ড

(১) ন্যাচারাল কনভেকশন টাইপ 

(২) ফোর্সড কনভেকশন টাইপ

(খ) ওয়াটার কুন্ড

(১) ডাবল টিউব টাইপ

(২) শেল এন্ড কয়েল টাইপ

(৩) শেল এন্ড টিউব টাইপ

(গ) ইভাপোরেটিভ টাইপ কনডেনসার

(ঘ) এটমোসপিয়ারিক টাইপ কনডেনসার


চিত্র  : আবাসিক শীতকে বসানো একটি এয়ারকুন্ড ন্যাচারাল কনভেকশন টাইপ কনডেনসার



৩.২ এয়ারকুন্ড ন্যাচারাল কনভেকশন টাইপ কনডেনসার (Natural convection Condenser)


ন্যাচারাল কনভেকশন টাইপ কনডেনসার সাধারনত ছোট ইউনিটে ব্যবহৃত হয়। আবাসিক শীতক, চেষ্ট ফ্রিজার, ছোট ওয়াটারকুলার ইত্যাদি ক্ষেত্রে যেখানে হিট লস খুব বেশি নয় এমন হিমায়ন যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের কনডেনসার ফিনলেস বা ফিড টাইপ হতে পারে । আবাসিক শীতকে পেছনে খোলা কনডেনসার ফিপযুক্ত হয়। ইদানীং আবাসিক শীতকের বড়ির ভিতরে কনডেনসার টিউন বসানো হয় । তাতে সুবিধা হল শীতকের বড়ি গরম থাকে যাতে ঘামতে না পারে।

চিত্র : এয়ারকুন্ড ফোর্স কনভেকশন টাইপ কনডেনসার


 ফোর্সড কনভেকশন কনডেনসার (Forced convection Condenser)


ফোর্সড কনভেকশন টাইপ এয়ারকুন্ড কনডেনসারের ব্যবহার ব্যাপক। উইন্ডো টাইপ এবং প্যাকেজ টাইপ এয়ারকন্ডিশনার, বড় চেষ্ট ফ্রিজার, ডিসপ্লে কেইস, আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, ডিহিউমিডিফায়ার, আইস মেকার, ওয়াকইন কুলার, রিচইন কুলার এবং স্বল্প মেয়াদী ছোট হিমাগার ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ ধরনের কনডেনসার ব্যবহৃত হয় । বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক হিমায়ন যন্ত্রে এ ধরনের কনডেনসার ব্যবহৃত হয়। কমপ্রেসর যে স্যাসিসে বসানো হয় সেই একই স্যাসিসে কনডেনসার বসানো হলে তাকে স্যাসি মাউন্টেড এবং স্যাসিসে না বসিয়ে অন্যত্র বসানো হলে তাকে ফোর্সড কনভেকশন রিমোট টাইপ কনডেনসার বলে।

চিত্র  এয়ারকুন্ড ফোর্সড কনভেকশন রিমোট টাইপ কনডেনসার



ডাবল টিউব টাইপ কনডেনসার (Double Tube Type Condenser)


ডাবল টিউব মানে একটি টিউবের ভিতরে আর একটি টিউব থাকে । ভিতরে টিউব দিয়ে পানি এবং বাইরের টিউব দিয়ে হিমায়ক প্রবাহিত হয় অথবা বিপরীতও হতে পারে। ডাবল টিউব কনডেনসার খুব ছোট ইউনিটে ব্যবহার করা হয় । পানি প্রবাহের প্রয়োজন হয় বিধায় এ ধরনের কনডেনসারের ব্যবহার সীমিত।


 চিত্রঃ ডাবল টিউব টাইম ওয়াটার কুল কনডেন্স।


শেল অ্যান্ড কয়েল টাইপ ওয়াটার কুল্ড কনডেনসার (Shell and Coil Type Water CooledCondenser) 

শেল অ্যান্ড কয়েল কনডেনসারে একটি গোলাকার শেল এবং তার ভিতর এক বা একাধিক কয়েল থাকে। এখানে শেলের ভিতর রিফ্রিজারেন্ট এবং কয়েলের মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় । পানির এক বা একাধিক কয়েল সিরিজ বা প্যারালালে সংযোগ থাকতে পারে । এ ধরনের কনডেনসারে পানি খুব বেশি প্রবাহিত করানো যায় না। আর একটা প্রধান অসুবিধা হল যে এ ধরনের কনডেনসার পরিষ্কার করা খুবই কঠিন কাজ। রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে করেল পরিষ্কার করতে হয়। সব দিক বিবেচনা করে এ ধরনের কনডেনসারের ব্যবহার সীমিত।

চিত্রঃ শেল অ্যান্ড কয়েল টাইপ কনডেনসার


৩.৬ শেল অ্যান্ড টিউব টাইপ কনডেনসার (Shell and Tube Condenser)


শেল অ্যান্ড টিউব টাইপ কনডেনসারের মধ্যে একটি গোলাকার শেল থাকে এবং এ শেলের ভিতরে অনেকগুলো টিউব থাকে । টিউবের মাথাগুলো দুদিক থেকে দুটি এন্ড প্লেট (End Plate) শেলের সাথে নাট বোল্টের মাধ্যমে আটকানো। থাকে। এ ধরনের কনডেনসারে শেলের ভিতরে হিমায়ক আর টিউবের ভিতর পানি প্রবাহিত হয়। এ ধরনের কনডেনসারে প্রচুর পানি শেলের ভিতর বেশ কয়েকবার অতিক্রম করার পর নির্গত হয়। একই পানি যদি টিউবের মাধ্যমে। প্রবাহিত করার সময় শেলের মধ্যে চার বার অতিক্রম করে নির্গত হলে একে ফোর পাশ (Four Pass) কনডেনসার বলে । বড় বড় সেন্ট্রাল প্ল্যান্টে শেল অ্যান্ড টিউব কনডেনসার ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের কনডেনসারের পানি ঠাণ্ডা করার জন্য কুলিং টাওয়ার ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের কনডেনসারের ব্যবহার ব্যাপক হওয়ার কারণ দুটি। একটি হল এ ধরনের কনডেনসারে প্রচুর পরিমাণ পানি প্রবাহ করানো যায় আর অন্যটি হল কনডেনসারের এন্ড প্লেট খুলে পানি প্রবাহের টিউবগুলো সহজেই পরিষ্কার করা যায়। যে কোনও টিউব মেরামত বা বাদ দিয়ে সাময়িক ভাবে প্ল্যান্ট চালু রাখা যায়।

চিত্র  : শেল অ্যান্ড টিউব টাইপ ওয়াটার কুন্ড কনডেনসার (হরাইজন্টাল টাইপ)


শেল অ্যান্ড টিউব কনডেনসারের-এ প্লেটগুলো সরিয়ে নিলেও হিমায়ক বেরোতে পারে না এবং টিউবের ভিত তাকালে অন্য দিকে খোলা দেখা যায়। তারের ব্রাশ দুদিক থেকে টেনে টিউবের ভিতরের ময়লা সহজেই পরিষ্কার করা যায় ।




চিত্রঃ শেল অ্যান্ড টিউব টাইপ ওয়াটার কুন্ড কনডেনসার


এ ধরনের কনডেনসারে যে পানি ব্যবহৃত হয় তাকে কুলিং টাওয়ারের মাধ্যমে ঠাণ্ডা করার ফলে দুটি সুবিধা পাওয়া যায়, যেমন মেশিন রুমে কনডেনসার জায়গা খুব কম দখল করে এবং একই পানি বার বার ব্যবহারের ফলে পানি খুব কম লাগে ।


 ইভাপোরেটিভ কনডেনসার (Evaporative Condenser)


যে সকল কনডেনসার বাতাস ও পানি উভয় দিয়েই ঠাণ্ডা করা হয় তাকে ইভাপোরেটিভ কনডেনসার বলে। যেখানে পানির স্বল্পতা কিন্তু গরম পানিকে দ্রুত ঠাণ্ডা করার দরকার সেখানে অল্প পানি ও বাতাস উভয় দিয়ে দ্রুত কনডেনসার ঠাণ্ডা করা যায়। ইভাপোরেটিভ কনডেনসার দালানের বাইরে বা ভিতরে বসানো হয়। এ ধরনের কনডেনসারের জন্য আলাদা কোনও কুলিং টাওয়ারের দরকার হয় না।



চিত্রঃ ইভাপোরেটিভ কনডেনসার


এ কনডেনসারের সুবিধা হল :

(ক) সামান্য পানি লাগে

(খ) আলাদা কুলিং টাওয়ার লাগে না । 

(গ) মেঝে, দেয়াল বাইরে খোলা স্থানে বা ছাদে বসানো যায়।

(ঘ) তরল হিমায়কের অধিক সাবকুলিং হয় ।


 এটমোসফেরিক কনডেনসার (Atmospheric Condenser)




চিত্র  : এটমোসফেরিক কনডেনসার


এ্যাটমোসফেরিক কনডেনসারের গঠন খুবই সহজ। এ ধরনের কনডেনসার উন্মুক্ত খোলা জায়গায় বসান হয় । এতে কোন ফ্যান বা কুলিং টাওয়ার থাকে না। সাধারনত বড় ইন্ডাসট্রিয়াল রিফ্রিজারেশন প্ল্যান্টে বসানো হয়। বেশ কয়েকটি লাইনে সারিবদ্ধভাবে বসানো অনেকগুলো টিউব থাকে। পাম্পের সাহায্যে নীচের হাউজ বা বেসিন থেকে পানি নিয়ে চাপে গ্যাস পাইপের উপর ছিদ্রযুক্ত পাইপ দিয়ে ঝর্ণার মত ছড়িয়ে দেয়া হয় । পানি উপর থেকে নীচ পর্যন্ত টিউবের ওপর পড়ে। ফলে টিউবের তাপ পানিতে এবং পানি বাতাসে দ্রুত সঞ্চালিত হয়। টেক্সটাইল মিল, আইস প্ল্যান্ট, হিমাগার, ফিস ফ্রিজিং প্ল্যান্ট ইত্যাদি হিমায়ন যন্ত্রে কনডেনসারটি ব্যবহৃত হয়। রক্ষণাবেক্ষণ খুব কম লাগে এবং সহজ বিধায় ইন্ডাসট্রিয়াল কুলিং প্ল্যান্টে ব্যাপক ব্যবহৃত হয়।


চিত্রঃ কনডেনসারের সাথে সংযুক্ত ইনডিউসড কুলিং টাওয়ারং



চিত্রঃ কুলিং টাওয়ার 


6 Oct 2022

তাপ

 তাপ


প্রশ্নঃ-  তাপ কি? 

তাপ এক প্রকার রুপান্তরিত শক্তি  যাহার প্রভাবে পদার্থের অনু পরমানু সমূহ প্রসারিত অথবা সংঙ্কুচিত হয় তাহাই তাপ। অন্যভাবে, যাহার প্রভাবে পদার্থের উষ্ণতার বা অবস্থার পরিবর্তন হয় তাহাই তাপ। 


প্রশ্নঃ-  তাপের  উৎস কি? 

তাপের প্রধান উৎস সূর্য্যকে ধরা হয়। প্রকৃত পক্ষে প্রত্যেক পদার্থ বা শক্তিই তাপের উৎস ।

প্রশ্নঃ-  তাপের প্রভাব কি?

 তাপ পদার্থে নিম্ন প্রভাব পরিলক্ষিত হইতে পারে।

(১) উষ্ণতার পরিবর্তন হয়। (২)অবস্থার পরিবর্তন হয়। (৩) আয়তনের পরিবর্তন হয়। (৪) ভৌত পরিবর্তন হয়।(৫) রাসায়নিক পরিবর্তন হয়। (৬) বৈদ্যুতিক পরিবর্তন হয়। (৭) রোধকের পরিবর্তন হয়, ইত্যাদি। 


 প্রশ্নঃ- তাপ পরিমাপের একক কি? 

তাপ পরিমাপের প্রধানত তিনটি একক ব্যবহৃত হয়।

(১) বি.টি, ইউ(B.T.U) বা ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট।

(২) সি,এইস,ইউ (C,H,V) বা Centigrade Head Unit.

 (৩) ক্যালরী  Calorie. 

প্রশ্নঃ- B,T,U কি? 

 ইহা তাপ পরিমাপের এক প্রকার একক। ব্রিটিশ এবং আমেরিকার প্রকৌশলীরা এই প্রকার তাপীয় একক ব্যবহার করেন। এক পাউন্ত বিশুদ্ধ পানির তাপমাত্রা এক ডিগ্রী ফারেনহাইট পরিবর্তন করিতে যে পরিমান তাপের প্রয়োজন তাহাকে এক বি.টি.ইউ, বলা হয়। অথবা ১/১৪৪(০.০০৬৯৫) পাউন্ড ৩২ ডিগ্রী ফাঃ  এর বিশুদ্ধ বরফকে ৩২°ফাঃ এর পানিতে পরিনত করিতে যে তাপের প্রয়োজন তাহাই এক বি,টি,ইউ।


প্রশ্নঃ- CH.U. কি?

 ইহা তাপ পরিমাপের এক প্রকার একক। প্রকৌশলী মহলে ইহার ব্যাপক ব্যাবহার নাই বললেই চলে। এক পাউন্ড বিশুদ্ধ পানির তাপমাত্রা এক ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড  (১৪.৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড হইতে ১৫ .৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড) পরিবর্তন করিত যে পরিমান তাপের প্রয়োজন তাহাকে এক সি,এইচ,ইউ বলা হয়। অথবা ১/৮০(০.০১২৫) পাউন্ড 0 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড এর বিশুদ্ধ বরফকে 0 ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড এর পানিতে পরিনত করিতে যে তাপের প্রয়োজন তাহাই এক সি,এইচ ,ইউ।


 প্রশ্নঃ- ক্যালরী কী ? 

ক্যালরী তাপ পরিমাপের এক প্রকার একক এই প্রকার ছোট বিজ্ঞানী মহলে অধিক ব্যবহৃত হয়।  এক গ্রাম‌ বিশুদ্ধ পানির তাপমাত্রা এক ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড (১৪.৫°C  হইতে ১৫.৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড) পরিবর্তন করিতে  যে পরিমান তাপের প্রয়োজন তাহাকে এক ক্যালরী বলা হয়। এক হাজার ক্যালরীকে এক  Frigorie (ফ্রিগরী)  বলা হয়।

প্রশ্নঃ- ফ্রিগরী কি? 

ইহা তাপ পরিমাপের একক ক্যালরী বৃহৎ রূপ। এই প্রকার একক ইউরোপের লেখক বৃন্দ হিমায়ন প্রকল্পের তাপ অপসারণ ক্ষমতা প্রকাশার্থে ব্যবহার করেন। ইহা ক্যালরী এর ১০০০ গুণের সমান। Joule কি? ইহা তাপ পরিমাপের এসআই ইউনিট এর একক। ইহার বাণিজ্যিক ব্যবহার নাই।

১ C.H.U = ১.৮ B.T.U. = ৪৫৩.৬ Calorie = .৪৫৩৬ Frigorie. 

১ B.T.U. =.৫৬ C.H. U = ২৫২ Calorie = .২৫২ Frigorie.

১ Calorie =.008 B.T.U. = .0022 C.H.U = .001 Frigorie. 

১ Frigorie = ৩.৯৬৮ B.T. U. = 2.2 C.H. U. = 1000 Calorie. 

4.18 Joule = 1Frigorie = 3.968 B.T. U. = 2.2 C.H.U


প্রশ্নঃ- তাপ স্থানান্তর প্রকৃয়া কি? 

তাপ নিম্ন তিনটি প্রকৃয়ায় স্থানান্তরিত হয়।

(১)বিকিরণ প্রক্রিয়া (Radiation Process)। 

(২)পরিবাহী প্রক্রিয়া (Conduction Process)।

 (৩)পরিচলন প্রক্রিয়া (Convection Process)।



প্রশ্নঃ- বিকিরন প্রকৃয়া কি?

 ইহা এক প্রকার তাপস্থানান্তর প্রকৃয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যম ব্যতিত সরাসরি তাপস্থানান্তর হয়। যে প্রকৃয়ায় তাপ মাধ্যম ব্যতিত বা মাধ্যমের তাপমাত্রা পরিবর্তন না করিয়া সরাসরি স্থানান্তরিত হয় তাহাকে বিকিরণ প্রকৃয়া বলা হয়। সূর্য্য হতে তাপ এই প্রকৃয়ায় পৃথিবীতে আসে 

 প্রশ্নঃ পরিবহন প্রকৃয়া কি? 

পরিবহন তাপস্থানান্তরের এক প্রকৃয়া যাহার সাহায্যে কঠিন পদার্থে তাপ স্থানান্তরিত হয়। যে প্রকৃয়ায় তাপ কঠিন পদার্থের অনুর স্থানান্তর ব্যতিত অনু হতে অনুতে স্থানান্তরিত হয় তা পরিবহন প্রকৃয়া। ধাতব দন্তের এক প্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে এভাবে তাপ চলে ।

প্রশ্নঃ  পরিচলন প্রকৃয়া কি?

পরিচলন তাপ স্থানান্তর প্রকৃয়া যাহার সাহায্যে  তাপ তরল বা বায়বীয় পদার্থে স্থানান্তর হয়ে থাকে যে প্রক্রিয়ায় তাপ তরল বা বায়বীয় পদার্থে অনুর স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে অনু হতে  অনুতে স্থানান্তরিত হয় তাহাকে পরিচলন প্রক্রিয়া বলে।

4 Oct 2022

কমপ্রেসর

 কমপ্রেসর

Compressor 


যে যন্ত্রের সাহায্যে বায়ু বা বায়বীয় পদার্থকে সংকোচন করে চাপ বৃদ্ধি করা হয় তাকে কমপ্রেসর বলে কিন্তু রেফ্রিজারেশন কমপ্রেসর ইভাপোরেটর থেকে নিম্ন চাপের বাষ্পকে টেনে নিয়ে উচ্চ চাপে ও উচ্চ তাপমাত্রায় পরিণত করে কনডেনসারে প্রেরণ করে।


 কমপ্রেসরের শ্রেণী বিভাগ (Classification of Compressors)

কমপ্রেসর বিভিন্ন ধরনের হয়:


(ক) রেসিপ্রোকেটিং কমপ্রেসর

(খ) রোটারী কমপ্রেসর

(গ) সেন্ট্রিফিউগ্যাল কমপ্রেসর

(ঘ) কমপ্রেসর

(ঙ) স্ক্রোল কমপ্রেসর


আবার ঢাকনা গ্রাত্রাবরণের দিক থেকে রেসিপ্রোকেটিং কমপ্রেসর বিভিন্ন ধরনের হয় । যেমনঃ

(ক) ওপেন টাইপ 



(খ) সিন্ড টাইপ

(গ) সেমি সিল্ড টাইপ


আবাসিক রেফ্রিজারেটর দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার উপায়।

 

👉আবাসিক রেফ্রিজারেটর (শীতক) দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার উপায় Requirements of Longivity of Refrigerator Freezer 


(ক) চুলার কাছে স্থাপন করা যাবে না। 

(খ) রৌদ্রে স্থাপন করা যাবে না।

(গ) স্যাতস্যাতে জায়গায় স্থাপন করা যাবে না

(ঘ) আবদ্ধ ঘরে স্থাপন করা যাবে না ।

(ঙ) মেঝে থেকে একটু উঁচু স্থানে চৌকিতে বসাতে হবে। চৌকির

      মাঝে ফাঁকা থাকবে । 

(ড) গরম খাবার বা পানীয় রাখা যাবে না।

(ছ) খুব জোরে দরজা টান দেয়া যাবে না।

(জ) খুব জোরে দরজা বন্ধ করা যাবে না।

(ঝ) মাঝে মাঝে ফ্রিজের ভিতরে হালকা গরম স্যাম্পু পানি দিয়ে 

      পরিস্কার করতে হবে।

(ঞ) প্লাগ সকেট যথাযথ ভাবে লাগাতে হবে । 

(ট) দুই এম্পিয়ারের উন্নত মানের সার্কিট ব্রেকার লাইনে সংযোগ 

       করতে হবে।

(ঠ) ডোর গ্যাসকেট মাঝে মাঝে পরিষ্কার করতে হবে।

(ড) দরজা অপ্রয়োজনে খোলা বন্ধ করা যাবে না।

(চ) অতিরিক্ত মালামাল একবারে ঢুকানো যাবে না।

(ণ) ভোল্টেজ খুব বেশি বা কম হলে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার 

        ব্যবহার করতে হবে। 

(ত) কোনও কারণে বন্ধ করলে সাথে সাথে চালু করা যাবে না। 

        অন্তত ৫ মিনিট পর চালু করা যাবে।




বিদ্যুৎ। Electricity



 অধ্যায়-১ 

Basic Electricity

বেসিক ইলেকট্রিসিটি


১.১ বিদ্যুৎ (Electricity)👈

বিদ্যুৎ এক প্রকার শক্তি যা চোখে দেখা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায়। পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রোন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহের ফলে যে শক্তির সৃষ্টি হয় তাকে বিদ্যুৎ বা ইলেকট্রিসিটি বলে ।


১.২ বিদ্যুৎ এর প্রকার ভেদ (Types of Electricity)

           

              প্রধানত দুই প্রকার

১.স্থির বিদ্যুৎ

২. চল বিদ্যুৎ  (ইহা আবার দুই প্রকার) 

(ক) ডাইরেক্ট কারেন্ট (ডিসি)

(খ) অলটারনেটিং কারেন্ট (এসি) (ইহা আবার দুই প্রকার )

(ক) এক ফেইজ বিদ্যুৎ

(খ)পলি ফেইজ বিদ্যুৎ

স্থির বিদ্যুৎ (Static Electricity)

দুটি অপরিবাহী পদার্থের ঘর্ষণের ফলে যে বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয় এবং যা একই স্থানে অবস্থান করে তাকে স্থির বিদ্যুৎ বলে । স্থির বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না। শীতকালে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচরালে এক ধরনের বিদ্যুৎ তৈরি হয়। এটি স্থির বিদ্যুৎ ।

চল বিদ্যুৎ (Current Electricity)

যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হওয়ার পরে কোনও পরিবাহী দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, তাকে চল বিদ্যুৎ বলে। যেমন ফরমান ও ফ্রিজের মোটর চালাতে চল বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন হয়।

১.৩ কারেন্ট (Current)

কোনও পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রোন প্রবাহের হারকে ইলেকট্রিক কারেন্ট বলে। যান্ত্রিক বা রাসায়নিক প্রক্রিয়ার উৎপন্ন বিদ্যুৎ পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহের হারকে কারেন্ট বলে । এর একক হল অ্যাম্পিয়ার (Ampere)। একে বা A অক্ষর দিয়ে নির্দেশ করা হয় । ইলেকট্রিক কারেন্টের পরিমাপক যন্ত্রের নাম অ্যাম্পিয়ার মিটার (Ampere meter)।

ডাইরেক্ট কারেন্ট (Dircet Current)

যে বিদ্যুৎ সর্বদা একই দিকে অনবরত প্রবাহিত হয় এবং যার মান ও দিক নির্দিষ্ট থাকে তাকে ডাইরেক্ট কারেন্ট বলে। এ কারেন্টে চলার পথ সরল রেখার মতো এবং এর পজেটিভ ও নেগেটিভ পোলারিটি সর্বদা অপরিবর্তিত থাকে।

অলটারনেটিং কারেন্ট (Alternating Current)

যে কারেন্ট চলতে সময়ের সাথে দিক ও মান পরিবর্তন করে তাকে অলটারনেটিং কারেন্ট বলে ।

১.৪ ভোল্টেজ (Voltage)

পরিবাহীতে ইলেক্ট্রন যে চাপে প্রবাহিত হয় তাকেই সাধারণভাবে ভোল্টেজ বলে। আবার পরিবাহী দুই পয়েন্টের মধ্যে যে চাপের পার্থক্য থাকে তাকে ভোল্টেজ বলে। এর একক হল ভোল্ট (Volt) আর এর পরিমাপক যন্ত্র হল ভোল্ট মিটার।


১.৫ রোধ (Resistance)

পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রোন প্রবাহের সময় ঐ পরিবাহীর উপাদান দ্বারা যে বাধার সৃষ্টি করে সে বাধাকে রোধ বা রেজিস্ট্যান্স বলে । এর ব্যবহারিক একক হল ওহম (ohm)। সাধারণভাবে পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বাড়লে রেসিস্ট্যান্স বাড়ে, পুরুত্ব বাড়লে রেসিস্ট্যান্স কমে এবং তাপমাত্রা বাড়লে রেজিস্ট্যান্স বাড়ে রোধক মাপার যন্ত্র হলো ওহম মিটার।


১.৬ সাইকেল বা ফ্রিকোয়েন্সি (Cycles or Frequency)

অল্টারনেটিং কারেন্ট প্রবাহের সময় প্রতি সেকেন্ডে যে কাবার দিক পরিবর্তন করে তাকে সাইকেল (Cycle) প্রতি সেকেন্ডে প্রবাহিত সাইকেলের সংখ্যাকে বলা হয় ফ্রিকোয়েন্সি বা হার্টজ (Hertz)। বাংলাদেশের জাতীয় বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থায় সাইকেল বা ফ্রিকুয়েন্সি এর সংখ্যা হল প্রতি সেকেন্ডে ৫০। আমেরিকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় ৬০ হার্টজে। মটরের স্যাফটের ঘুর্ণন সংখ্যা (RPM) মোটরের পোল ও ফ্রিকোয়েন্সির উপর নির্ভর করে।

১.৭ সুপরিবাহী (Conductor)

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে তাকে সুপরিবাহী বলে। যেমন- স্বর্ণ, তামা, রূপা, লোহা ইত্যাদি ।

১.৮ কুপরিবাহী (Semiconductor)

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার সময় যথেষ্ট বাধা প্রাপ্ত হয় তাকে কুপরিবাহী বলে । যেমন ভিজা বাতাস, ভিজা কাঠ, কার্বন, ভিজা মাটি, প্রাণী দেহ, সিলিকন, জার্মেনিয়াম ইত্যাদি।

১. অপরিবাহী (Nonconductor)

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না তবে ভিজা অবস্থায় এ সমস্ত অপরিবাহী সুপরিবাহী হতে পারে সে সমস্ত পদার্থকে অপরিবাহী বলে। যেমন- শুকনা কাঠ, শুকনা কাগজ, শুকনা কাপড় ইত্যাদি।

১.১০ অন্তরক (Insulator)

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে শুকনা বা ভিজা কোনও অবস্থাতেই বিদ্যুৎ প্রবাহ করতে পারে না তাকে অন্তরক বা ইন্সুলেটর বলে। যেমন- এবোনাইট, চীনামাটি, কাঁচ, রাবার ইত্যাদি ।





মটর। motor

 অধ্যায়-১


মটর 

Motor


১.১ মটর (Motor)

যে মেশিন বৈদ্যুতিক শক্তি গ্রহণ করে যান্ত্রিক শক্তি উৎপন্ন করে তাকে মটর বলে। বৈদ্যুতিক চুম্বকের আকর্ষণ ও বিকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে মটর চালানো হয়।

১.২ মটর চলার মূল নীতি (Motor Action Principle)


চিত্র ১.১-এ বাইরের স্থির চুম্বক ও ভিতরের ঘুরন্ত চুম্বকের একই মেরুত্বের জন্য ঘূর্ণন পথের এক চতুর্থাংশ বিকর্ষণ জনিত কারণে এবং পরবর্তী এক চতুর্থাংশ আকর্ষণ জনিত কারণে ঘুরে আসে। এ সময় যদি মেরু পরিবর্তন করা যায় তাহলে পূর্বের বিকর্ষণ ও আকর্ষণ আবার চলতে থাকে। মেরু পরিবর্তন করা এসি মোটরের জন্য খুবই সহজ। এসি সরবরাহে প্রতি সাইকেলে মোটরের কয়েলের মেরতে পরিবর্তন সংঘটিত হয়। ফলে মটরের স্যাট অনবরত ঘুরতে থাকে।

চিত্র ১.১ : মটর চলার মূল নীতি

৩.৩ মোটরের শ্রেণী বিভাগ (Classification of Motor)


মটরকে বেশ কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রধান শ্রেণী বিভাগগুলো উল্লেখ করা হল-


(ক) বিদ্যুৎ ব্যবহারের দিক থেকে

 ১। ডিসি মটর (DC Motor) 

 ২। এসি মটর (AC Motor)


(খ) সরবরাহ ফেইজের দিক থেকে 

১। সিঙ্গল ফেইজ মটর (Single Phase Motor) 

২। পলি ফেইজ মটর (Poly Phase Motor)

  অ) থ্রি ফেইজ (অধিক ব্যবহৃত) 

  আ) বহু ফেইজ (বিশেষ ব্যবহৃত)


(গ) রোটরে বিদ্যুৎ সরবরাহের দিক থেকে

 ১। স্কুয়িরেল ক্যাজ মটর (Squirel Case Motor) 

২। ওআউড রোটর মটর (Wound Rotor Motor)

১.৪ ডিসি মটর (DC Motor)


যে সব মটর ডিসি সরবরাহে চলে সেগুলোকে ডিসি মটর বলে। ডিসি মটরে ফিল্ড কয়েল ও রোটর কয়েলে বো


আর্মেচারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। রোটরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য কার্বন প্রাশ ব্যবহৃত হয়।


১.৫ ডিসি মটরের শ্রেণী বিভাগ (Classification of DC Motor)


ফিল্ড কয়েল ও রোটর করেল সংযোগের উপর ভিত্তি করে ডিসি মটরকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।


(ক) সিরিজ মটর (Series Motor)

এ মটরে ফিল্ড কয়েল ও আর্মেচার সিরিজে সংযোগ থাকে বলে একে সিরিজ মটর বলে। ছোট মটরে এ ব্যবস্থা অধিক ব্যবহৃত হয় ।


চিত্র ১.২ সিরিজ মটর

(খ) সান্ট মটর (Shunt Motor)

অপেক্ষাকৃত বড় ও অধিক ঘূর্ণন বলে প্রয়োজনে আর্মেচার কয়েল ও স্ট্যাটর কয়েল প্যারালালে সংযোগ করলে তাকে সান্ট মটর বলে।

চিত্র ৩.৩: সান্ট মটর


(গ) কম্পাউন্ড মটর (Compound Motor)


ফিল্ড কয়েলের সাথে আর্মেচার কয়েল যদি সিরিজ ও প্যারালালে সংযোগ থাকে তাহলে তাকে সিরিজ প্যারালাল বা কম্পাউন্ড মোটর বলে। নিরাপদে চালু ও চলনের সময় অধিক ঘূর্ণন বল পাওয়ার জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়।


চিত্র ৩.৪ : কম্পাউন্ড মটর



3 Oct 2022

কম্প্রেসর মটরের টার্মিনাল চেনা যায় যেভাবে

 👉কম্প্রেসরের টার্মিনাল কিভাবে পরিমাপ করা যায়।।

একটি রেফ্রিজারেটর মুল অংশ কম্প্রেসর। এই কম্প্রেসরের  তিনটি টার্মিনাল থাকে  । তিনটি টার্মিনাল  কমন ও রান এবং স্টাট হয়ে  থাকে । আমরা ক্লাম মিটার দিয়ে সহজেই টার্মিনাল বের করতে পারি। 

👉মনে করি টার্মিনাল দয় A B ও C এখন ক্লাম মিটার ওহমসে সেট করি ।

অতঃপর মিটার দিয়ে মাপি যে দুইটা টার্মিনাল এ সবচেয়ে বেশি রেজিস্ট্যান্স দেখায় সেই দুইটা টার্মিনাল এর মধ্যে রানিং এবং স্টাট টার্মিনাল আছে। আমরা ABC পরিমাপ করে দেখি BC টার্মিনাল দয়ে সবচেয়ে বেশি রেজিস্ট্যান্স দেখায় । তাহলে B ও C এর মধ্যে রানিং এবং স্টাট আছে তাহলে বাকি  পয়েন্ট হলো কমন অর্থাৎ A  হলো কমন পয়েন্ট।

এখন A টার্মিনাল মিটার এর সাথে ধরে একবার B পরিমাপ করি এবং C পরিমাপ করি । যেটির রেজিস্ট্যান্স কম দেখায় সেই পয়েন্ট রানিং টার্মিনাল আর যেটির মান বেশি দেখায় সেটি স্টাটিং টার্মিনাল।

আমরা দেখতে পাই

AB=10 ওহম (রানিং আছে)

AC=15 ওহম (স্টাট আছে)

BC=25 ওহম (রানিং এবং স্টাট আছে)

অতএব আমরা বলতে পারি সবচেয়ে বেশী রেজিস্ট্যান্স B ও C তে যেটার মধ্যে রানিং ও স্টাট আছে এই দুইটা বাদ দিয়ে থাকে A টার্মিনাল ঐটিই কমন পয়েন্ট।

কমন কে কেন্দ্র করে পরিমাপ করি

কম দেখায় B পয়েন্ট ঐটিই হলো রানিং পয়েন্ট।

আর যেটি অবশিষ্ট আছে C পয়েন্ট ঐটিই হলো স্টাট পয়েন্ট।


A=কমন টার্মিনাল 

B= রানিং টার্মিনাল 

C= স্টাটিং টার্মিনাল 




1 Oct 2022

রেফ্রিজারেশন সাইকেল

 👉 রেফ্রিজারেশন সাইকেল কী? এটা কীভাবে কোনো গরম বস্তুকে ঠান্ডা করে?

👉 রেফ্রিজারেটরের ৪টা প্রধান অংশ থাকে। 

👉 ১। কম্প্রেসার


👉 ২। কন্ডেন্সার


👉 ৩। এক্সপানসন ভাল্ব


👉 ৪। ইভাপোরেটর।


👆 আর একটা রাসায়নিক পদার্থ থাকে যেটা এই গোটা ব্যবস্থা মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এটাকে রেফ্রিজারেন্ট (হিমায়ক)বলে। আগে এই রাসায়নিক পদার্থ হিসেবে ব্যবহার করা হত ক্লোরো ফ্লুরো কার্বন। কিন্তু সেটা ওজোন স্তরের জন্য ক্ষতিকর বলে এখন আর ব্যবহার করা হয়না । এখন R-134a (টেট্রাফ্লুরোইথেন), হাইড্রোক্লোরোফ্লুরোকার্বন(HCFC's) অথবা হাইড্রোফ্লুরোকার্বন(HFC's)ব্যবহার করা হয়।


👉রেফ্রিজারেশনের প্রক্রিয়াটা অনেকটা এরকমঃ


 নিম্ন চাপীয় ও বাষ্পীয় হিমায়ক টেনে নিয়ে উচ্চচাপে এবং উচ্চ তাপমাত্রায় কনডেন্সারে  প্রেরণ করায় কম্প্রেসার এর কাজ । ইলেক্ট্রিসিটি নেয় এবং কম্প্রেস করে রেফ্রিজারেন্টটার চাপ বাড়িয়ে দেয়। এসময় তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। কারণটা এভাবে এনালজি দিয়ে বোঝা যায়ঃ খুব অল্প জায়গায় যখন অনেক মানুষ থাকে (যেমন ধরুন গিজগিজ করতে থাকা টিকেট লাইনে অথবা সিনেমা হল থেকে বের হবার সময়) তখন দেখা যায় বেশ গরম লাগে । জায়গা কম তাই নিজেদের তাপটাকে ঐ অল্প জায়গাতেই রাখতে হচ্ছে। 


এরপর বায়বীয় রেফ্রিজারেন্ট যায় কনডেন্সারে। এখানে সে তাপ ছেড়ে দেয় ও তরলে পরিণত হয়। ফ্রিজের পেছনে অনেকগুলো প্যাচানো নলের মত। যেগুলো বডির বাহিরে থাকে সেগুলো  দেখা যায়। আর যেসব কনডেন্সার বডির ভিতরে থাকে সেসব দেখা যায় না? ওগুলোই কনডেনসার। অর্থাৎ কনডেনসার তাপ ছেড়ে দিয়ে রেফ্রিজারেন্টটাকে ঠান্ডা করল ও তরল করল। কনডেন্সার তাপ বর্জন করে। সেই কারনে ফ্রিজের পেছনে যদি আপনি কখনো হাত দিয়ে দেখেন দেখবেন গরম লাগে ।


কনডেনসার হয়ে তরল ও ঠান্ডা রেফ্রিজারেন্ট যায় এক্সপানসন ভাল্বে। সেখানে হুট করেই রেফ্রিজারেন্টটা প্রসারিত হবার জন্য জায়গা পেয়ে যায়। তাই সে প্রসারিত হয়। প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে তাপমাত্রার পরিমাণ আরো কমে যায় (ঠিক যেমনটা হয় মানুষে গিজগিজ করতে থাকা ব্যাঙ্কের লাইন থেকে আপনি যখন বেরিয়ে বাইরে আসেন)।


এসময় আরেকটা ব্যাপার ঘটে। সেটা হচ্ছে কিছু পরিমাণ (পুরোটা না) রেফ্রিজারেন্ট, যেটা তরল ছিল তা বাষ্পে পরিণত হয়। এরোসল যেমন ক্যানের ভেতরে তরল কিন্তু বাইরে স্প্রে করার পর অনেক জায়গা পেয়ে বায়বীয় হয়ে যায় সেরকম। কিন্তু এরোসলের মত রেফ্রিজারেন্টটা এত সহজে বাষ্পায়িত হয় না বলেই পুরোটা হয়না,অল্প পরিমাণ হয় কিন্তু রেফ্রিজারেন্টের তাপমাত্রা বেশ কমে যায়।


মোটামুটি সাইকেলের শেষ দিকে এসে পড়লাম। এবারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এভাপোরেটরগুলো থাকে চেম্বারের পাশে। মানে যেখানে আমরা খাবার দাবার রাখি তার আশেপাশে কিন্তু ভেতরে। এটা আমরা দেখতে পাইনা। যখন ঠান্ডা রেফ্রিজারেন্ট এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন খাবারের মধ্যে জমে থাকা তাপ নিয়ে রেফ্রিজারেন্টটা বাষ্প হয়ে যায়। এই যে খাবারের মধ্য থেকে তাপ নিয়ে গেল,এতেই খাবার ঠান্ডা হয়ে যায়। এরপর এই বায়বীয় রেফ্রিজারেন্ট কম্প্রেসারে যায় এবং একইভাবে রেফ্রিজারেশন সাইকেল চলতে থাকে। 



29 Sept 2022

রেফ্রিজারেটর এর

👉 রেফ্রিজারেটর এর পাঁচ টি অংশের কাজ
১। কম্প্রেসর:-  নিম্ন চাপিয় বাস্পীয় হিমায়ক টেনে নিয়ে উচ্চ চাপে এবং উচ্চ তাপমাত্রায়  কনডেনসারে প্রেরন করাই কম্প্রেসরের কাজ।
২। কনডেনসার:- তাপ বর্জন করে বাস্পীয় হিমায়ক তরলে পরিনত করাই কনডেনসারের কাজ।
৩। ড্রায়ার/ ফিল্টার:- অনাকাঙ্ক্ষিত ময়লা পরিষ্কার করাই ফিল্টারের কাজ।
৪। ক্যাপিলারি টিউব:- তরল হিমায়কের চাপ কমাই এবং ইভাপরেটরের চাহিদা অনুযায়ী প্রেরন করাই ক্যাপিলারি টিউবের কাজ।

৫। ইভাপরেটর:- চেম্বারে অথবা আস পাস হতে  তাপ গ্রহন করে তরল হিমায়ক বাস্পীয় রূপ ধারণ করাই ইভাপরেটরের কাজ। 

28 Sept 2022

ফ্রিজের টাইমার মটর

 রেফ্রিজারেটর এর টাইমার কি ভাবে পরিক্ষা করব?❤👧

সমাধানঃ সাধারণত নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটরে হিটার চালু করার জন্য টাইমার মটর ব্যবহার করা হয়। টাইমার মটরটি ব্যবহারের পূর্বে তা সচল আছে কিনা তা দেখে নেওয়া প্রয়োজন। আমরা জানি টাইমারের মটরের চারটি পিন এর মধ্যে দুটি কানেকশন  মটরের নেগেটিভ পজিটিভ লাইন রয়েছে, আর একটি(১)কম্প্রেসর  কানেকশন লাইন, আর একটি (২)হিটারে কানেকশন লাইন।

টাইমারের ভিতরে দুটি অংশ থাকে। যথাঃ ১। ইলেকট্রিক্যাল অংশ, ২। মেকানিক্যাল অংশ।

 একটি টাইমারকে সম্পূর্ণ রূপে সচল বলতে গেলে তার ভিতরের দুটি অংশই পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

প্রথমত টাইমারের ইলেকট্রিক্যাল

অংশ পরীক্ষা করতে হলে টাইমারের কানেকশন লাইন ১ ও ৩ নং পিনের  সাথে অ্যাভোমিটার সংযুক্ত করে ওহমস পরিমাপ করতে হবে। যদি অ্যাভোমিটারটি ওহমস এর পাঠ দেয় তবে বুঝতে হবে টাইমারের ভিতরে ইলেকট্রিক্যাল অংশ সঠিক রয়েছে।

এবার আমাদের দেখতে হবে যে

টাইমারের মেকানিক্যাল অংশটি সঠিক অছে কিনা, মেকানিক্যাল অংশ পরীক্ষা করার জন্য টাইমার টির হিটার কানেকশন লাইন চালু করে ইলেকট্রিক্যাল অংশে পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে চালু করতে হবে। কিছু সময় অপেক্ষা করার পর অ্যাভোমিটার দ্বারা চেক করে দেখতে হবে টাইমারটি কম্প্রেসর লাইনে সংযোগ পেয়েছে কিনা। যদি টাইমারটি কম্প্রেসর লাইনে সংযোগ পায় তবে বুঝতে হবে এর মেকানিক্যাল অংশটি সঠিক রয়েছে। উপরের দুটি পরীক্ষণ সঠিক ভাবে সম্পন্ন হলে বুঝতে হবে টাইমারটি সচল

রয়েছে।

টাইমার




মতামত দিন

ফ্যানের গতি বিদ্যুৎ বিল

 ফ্যানের গতি কম বেশি করলে কি বিদ্যুৎ বিল একই আসবে নাকি কম বেশি হবে?❤

এটা খুব কমন প্রশ্ন। কিন্তু উত্তর আলাদা আলাদা দেখা যায়। আমি যখন বেসিক ইলেকট্রিসিটি পড়েছিলাম, তখন সেখানে লেখা ছিল, ফ্যান জোরে বা আস্তে ঘুরুক না কেন, বিদ্যুৎ বিল একই আসবে। এমনকি বিসিএস এর প্রিলিমিনারি বই এর প্রশ্ন সমাধানেও এই একই উত্তর ছিল। এখন মূল বিষয় হলো, উত্তরটি ঠিক আবার ঠিক ও না।

এর উত্তর জানতে হলে, আমাদের বেসিক কিছু বিষয় জানতে হবে।

ফ্যানের রেগুলেটর সাধারনত দুই ধরনের হয়। ইলেকট্রিক রেগুলেটর ও ইলেকট্রনিক্স রেগুলেটর। ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর এ একটি কয়েল ব্যবহার করা হয়। যার রেজিস্ট্যান্স কম বেশি করে ফ্যানের কারেন্ট কে নিয়ন্ত্রন করা হয়। এক্ষেত্রে ফ্যানের রেগুলেটর একটি ভ্যারিয়েবল রেজিস্ট্যান্সের মত কাজ করে। ইলেকট্রনিক্স রেগুলেটর এ এই একই কাজ করা হয়। কিন্তু কয়েলের পরিবর্তে থাইরিষ্টর বা বিভিন্ন রকমের ডায়োড, রেজিস্টর ইত্যাদি ব্যবহার করে কারেন্ট কমানো হয়।


এখন, দেখা যাচ্ছে, দুই ক্ষেত্রেই কারেন্ট কমাতে হয়। কারন কারন্টের উপর টর্ক নির্ভর করে, টর্কের উপর গতি নির্ভর করে। তাই কারেন্ট কমানোই টা মূল বিষয়। কারেন্ট কম বেশি হলে পাওয়ার কম বেশি হবে। পাওয়ার কম বেশি হলে বিদ্যুৎ বিলের ও তারতম্য হবে।


যদি আমরা ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ব্যবহার করে ফ্যানের গতি নিয়ন্ত্রন করি এবং এর সাথে একটি অ্যামিটার সিরিজে সংযুক্ত করি, তবে আমরা কারেন্টের পরিবর্তনটা খুব সহজেই বুঝতে পারবো। কিন্তু ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর কয়েলের উপর নির্ভর করে কাজ করে। ফলে কয়েলের রেজিস্ট্যান্সের কারনে এতে পাওয়ার অপচয় হয়। তাই বলা হয়, ফ্যানের গতি কম বেশি করলেও বিদ্যুৎ বিল একই থাকে।


কিন্তু ইলেকট্রনিক রেগুলেটর এ কোন কয়েল থাকেনা। আর ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্টের পাওয়ার অপচয় খুব নগন্য। তাই ইলেকট্রনিক রেগুলেটরে ফ্যানের গতি কম বেশি করলে কারেন্ট কম বেশি হয়, ফলে পাওয়ার অপচয় কম বেশি হয়। ফলে বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রেও কম বেশি হয়।





মতামত দিন

27 Sept 2022

রেফ্রিজারেশন কাহাকে বলে

 👉রেফ্রিজারেশন:- কোন স্থান শীতল করিয়া উহার শীতলতা বজায় রাখার পদ্ধতি কে রেফ্রিজারেশন বলে।