About Me

My photo
Rangpur, Islam , Bangladesh

4 Oct 2022

বিদ্যুৎ। Electricity



 অধ্যায়-১ 

Basic Electricity

বেসিক ইলেকট্রিসিটি


১.১ বিদ্যুৎ (Electricity)👈

বিদ্যুৎ এক প্রকার শক্তি যা চোখে দেখা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায়। পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রোন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহের ফলে যে শক্তির সৃষ্টি হয় তাকে বিদ্যুৎ বা ইলেকট্রিসিটি বলে ।


১.২ বিদ্যুৎ এর প্রকার ভেদ (Types of Electricity)

           

              প্রধানত দুই প্রকার

১.স্থির বিদ্যুৎ

২. চল বিদ্যুৎ  (ইহা আবার দুই প্রকার) 

(ক) ডাইরেক্ট কারেন্ট (ডিসি)

(খ) অলটারনেটিং কারেন্ট (এসি) (ইহা আবার দুই প্রকার )

(ক) এক ফেইজ বিদ্যুৎ

(খ)পলি ফেইজ বিদ্যুৎ

স্থির বিদ্যুৎ (Static Electricity)

দুটি অপরিবাহী পদার্থের ঘর্ষণের ফলে যে বিদ্যুৎ সৃষ্টি হয় এবং যা একই স্থানে অবস্থান করে তাকে স্থির বিদ্যুৎ বলে । স্থির বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না। শীতকালে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচরালে এক ধরনের বিদ্যুৎ তৈরি হয়। এটি স্থির বিদ্যুৎ ।

চল বিদ্যুৎ (Current Electricity)

যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হওয়ার পরে কোনও পরিবাহী দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, তাকে চল বিদ্যুৎ বলে। যেমন ফরমান ও ফ্রিজের মোটর চালাতে চল বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন হয়।

১.৩ কারেন্ট (Current)

কোনও পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রোন প্রবাহের হারকে ইলেকট্রিক কারেন্ট বলে। যান্ত্রিক বা রাসায়নিক প্রক্রিয়ার উৎপন্ন বিদ্যুৎ পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহের হারকে কারেন্ট বলে । এর একক হল অ্যাম্পিয়ার (Ampere)। একে বা A অক্ষর দিয়ে নির্দেশ করা হয় । ইলেকট্রিক কারেন্টের পরিমাপক যন্ত্রের নাম অ্যাম্পিয়ার মিটার (Ampere meter)।

ডাইরেক্ট কারেন্ট (Dircet Current)

যে বিদ্যুৎ সর্বদা একই দিকে অনবরত প্রবাহিত হয় এবং যার মান ও দিক নির্দিষ্ট থাকে তাকে ডাইরেক্ট কারেন্ট বলে। এ কারেন্টে চলার পথ সরল রেখার মতো এবং এর পজেটিভ ও নেগেটিভ পোলারিটি সর্বদা অপরিবর্তিত থাকে।

অলটারনেটিং কারেন্ট (Alternating Current)

যে কারেন্ট চলতে সময়ের সাথে দিক ও মান পরিবর্তন করে তাকে অলটারনেটিং কারেন্ট বলে ।

১.৪ ভোল্টেজ (Voltage)

পরিবাহীতে ইলেক্ট্রন যে চাপে প্রবাহিত হয় তাকেই সাধারণভাবে ভোল্টেজ বলে। আবার পরিবাহী দুই পয়েন্টের মধ্যে যে চাপের পার্থক্য থাকে তাকে ভোল্টেজ বলে। এর একক হল ভোল্ট (Volt) আর এর পরিমাপক যন্ত্র হল ভোল্ট মিটার।


১.৫ রোধ (Resistance)

পরিবাহীর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রোন প্রবাহের সময় ঐ পরিবাহীর উপাদান দ্বারা যে বাধার সৃষ্টি করে সে বাধাকে রোধ বা রেজিস্ট্যান্স বলে । এর ব্যবহারিক একক হল ওহম (ohm)। সাধারণভাবে পরিবাহীর দৈর্ঘ্য বাড়লে রেসিস্ট্যান্স বাড়ে, পুরুত্ব বাড়লে রেসিস্ট্যান্স কমে এবং তাপমাত্রা বাড়লে রেজিস্ট্যান্স বাড়ে রোধক মাপার যন্ত্র হলো ওহম মিটার।


১.৬ সাইকেল বা ফ্রিকোয়েন্সি (Cycles or Frequency)

অল্টারনেটিং কারেন্ট প্রবাহের সময় প্রতি সেকেন্ডে যে কাবার দিক পরিবর্তন করে তাকে সাইকেল (Cycle) প্রতি সেকেন্ডে প্রবাহিত সাইকেলের সংখ্যাকে বলা হয় ফ্রিকোয়েন্সি বা হার্টজ (Hertz)। বাংলাদেশের জাতীয় বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থায় সাইকেল বা ফ্রিকুয়েন্সি এর সংখ্যা হল প্রতি সেকেন্ডে ৫০। আমেরিকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় ৬০ হার্টজে। মটরের স্যাফটের ঘুর্ণন সংখ্যা (RPM) মোটরের পোল ও ফ্রিকোয়েন্সির উপর নির্ভর করে।

১.৭ সুপরিবাহী (Conductor)

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে সহজে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে তাকে সুপরিবাহী বলে। যেমন- স্বর্ণ, তামা, রূপা, লোহা ইত্যাদি ।

১.৮ কুপরিবাহী (Semiconductor)

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার সময় যথেষ্ট বাধা প্রাপ্ত হয় তাকে কুপরিবাহী বলে । যেমন ভিজা বাতাস, ভিজা কাঠ, কার্বন, ভিজা মাটি, প্রাণী দেহ, সিলিকন, জার্মেনিয়াম ইত্যাদি।

১. অপরিবাহী (Nonconductor)

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না তবে ভিজা অবস্থায় এ সমস্ত অপরিবাহী সুপরিবাহী হতে পারে সে সমস্ত পদার্থকে অপরিবাহী বলে। যেমন- শুকনা কাঠ, শুকনা কাগজ, শুকনা কাপড় ইত্যাদি।

১.১০ অন্তরক (Insulator)

যে সকল পদার্থের মধ্য দিয়ে শুকনা বা ভিজা কোনও অবস্থাতেই বিদ্যুৎ প্রবাহ করতে পারে না তাকে অন্তরক বা ইন্সুলেটর বলে। যেমন- এবোনাইট, চীনামাটি, কাঁচ, রাবার ইত্যাদি ।





No comments: